, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


‘উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে শিশুদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে’

  • আপলোড সময় : ১১-০৬-২০২৩ ০৮:৫৪:০১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-০৬-২০২৩ ০৮:৫৪:০১ অপরাহ্ন
‘উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে শিশুদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে’
শিশুশ্রমকে একটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে শিশুদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করে তাদের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। সরকারের লক্ষ্য এসডিজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে সকল ধরনের শিশুশ্রম হতে মুক্ত করা।

আগামীকাল ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে রোববার (১১ জুন) দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপ্রধান এ কথা বলেন। সেই সঙ্গে তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে শিশুর সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করে তাদের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই।

শিশুশ্রম একটি বৈশ্বিক সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য এসডিজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে সকল ধরনের শিশুশ্রম হতে মুক্ত করা। শিশুশ্রম নির্মূল করে বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে শিশুর যথাযথ বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি শিশুদের সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘শিশুর শিক্ষা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করি, শিশুশ্রম বন্ধ করি’ খুবই সময়োপযোগী হয়েছে। শিশুশ্রম নিরসনে সরকার জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বিভিন্নমুখী কার্যকর উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও শিশুশ্রম নিরসনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২০১০ সালে ‘জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতিমালা’ প্রণয়ন করেছে। প্রণীত নীতিমালা বাস্তবায়নে জাতীয় কর্মপরকিল্পনা ২০২১-২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বিষয়ক আইএলও কনভেনশন অনুসমর্থনকারী দেশ জানিয়ে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিষয়ক এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য শিশুশ্রম নিরসনকে অন্যতম সূচক হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি শিশুশ্রম নির্মূলে জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে চার স্তরবিশিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি আশাপ্রকাশ করেন- পর্যায়ক্রমে সব প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতকে শিশুশ্রম মুক্ত করার কার্যক্রম আরও বেগবান হবে। সেই সঙ্গে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন তিনি।
সর্বশেষ সংবাদ